• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:২৪ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করলেন জাবির হল সুপারিনটেনডেন্ট

সাভার প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেসা হলের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগম কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই ‘পরিত্যক্ত’ ভেবে হল গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ফজিলাতুন্নেসা হলের মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন পানধোয়া এলাকার জনৈক ব্যবসায়ীর কাছে হল গ্রন্থাগারের বই বিক্রির এই ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়।

হলের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর তপন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘ফাতেমা বেগম আমাকে বই বিক্রির ১১৫০ টাকা দিতে আসেন। তখন আমি জানতে পারি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি ছাড়াই তিনি হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করেছেন। তাই আমি টাকা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করি।ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রহরী মো. রাসেল হোসেন বলেন, ‘আমি ভেতরে গিয়ে দেখি হলের দুজন সিক গার্ল (শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে দেখভাল করেন) বস্তা ভরে গ্রন্থাগারের বই বের করছেন। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন ফাতেমা বেগম তাঁদেরকে বই বের করতে বলেছেন। ফাতেমা বেগম নিজে উপস্থিত থেকে হলের গ্রন্থাগারের বই বিক্রি করে দেন।’

এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি পরে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। হলের বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ। এভাবে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিক্রি করে দিতে পারে না। কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই হলের মূল্যবান বই বিক্রি করে তিনি অপরাধ করেছেন। দ্রুতই তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত সহকারী হল সুপারিনটেনডেন্ট ফাতেমা বেগম বলেন, ‘১৫ বছর ধরে ডাইনিংরুমে বইগুলো পড়ে ছিল। উইপোকা ধরে একটা পর্যায়ে আলমারিসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ডাইনিংরুমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের থাকার জায়গা না হওয়ায় আমি প্রাধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি নিয়ে আলমারির তালা ভেঙে বইগুলো বের করি। ভেতরে কী ধরনের বই ছিল তা আমি জানতে পারিনি। পরিত্যক্ত ভেবেই আমি সেগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রয়োজনীয় বই হলে আমি কখনোই তা বিক্রি করতাম না। বিষয়টি আমি বুঝতে পারিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.